Skip to main content

দলীল রেজিস্ট্রেশন ফি

২০১৪ সালের সরকারী আদেশ অনুসারে রেজিস্ট্রেশন ফীঃ
  • সাধারণভাবে দলীলের উল্লেখিত মূল্যের ২%, তবে এই ফী ১০০ টাকার নিচে হবে না। 
  • বায়নানামার ক্ষেত্রে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে হলে ৫০০ টাকা, পাঁচ লাখের বেশি হলে ১০০০ টাকা আর পঞ্চাশ লাখ টাকার বেশি হলে ২০০০ টাকা। 
  • নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সম্পত্তি দান করা হলে ১০০ টাকা।
  • বন্ধকের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমান পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে হলে ১% (২০০ থেকে ৫০০ টাকা), পাঁচ লাখের বেশি হলে ০.২৫% (১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা) আর বিশ লাখ টাকার বেশি হলে ০.১০% (৩০০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা)।
  • সম্পত্তি বাটোয়ারার ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।
  • ট্রাস্ট দলীলের উল্লেখিত মূল্য চার হাজার টাকার বেশি হলে ২৫০০ টাকা।
  • দলীলে বর্ণিত সম্পত্তি বা স্বার্থের উল্লেখিত মূল্য না থাকলে ১০০ টাকা।
  • অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অফ অ্যাটোর্নির ক্ষেত্রে মূল্যের ২%, তবে ১০০ টাকার কম না এবং ৪০,০০০ টাকার বেশি না।
  • উইল, দত্তক নেয়ার ক্ষমতা এর জন্য ২০০ টাকা।
দলীলের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিঃ
  • হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রয় মূল্য, দানের ক্ষেত্রে সম্পত্তির মূল্য।
  • লিজ-এর ক্ষেত্রেঃ মেয়াদ এক বছরের কম হলে মোট ভাড়া। দশ বছরের কম হলে গড়ে ১ বছরের ভাড়া। দশ বছরের বেশি বা অনির্দিষ্ট কালের জন্য হলে গড়ে দুই বছরের ভাড়া। আর ভাড়া ছাড়াও সালামীর ভিত্তিতে হলে সেই সালামীর পরিমাণ যুক্ত হবে।
  • একই সম্পত্তির একই লেনদেন বিষয়ে একাধিক দলীল হলে পরের দলীলগুলো প্রত্যেকটির জন্য শুধু ১০০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
আরো বিস্তারিত এই গেজেটে আছে।

Comments

Popular posts from this blog

সেই ছোটবেলার জিনিসগুলো

ইয়ো-ইয়ো কোকাকোলার সাথে ফ্রি পাওয়া যেতো। আবার আলাদাও কিনতে পাওয়া যেত। নাম ইয়ো-ইয়ো। আঙ্গুলে সুতা আটকে এই জিনিস ঘুরানো হতো, যদিও অতো ভাল পারতাম না। প্রথম দেখি ১৯৯৩ সালের দিকে। টিনের পিস্তল এই রকম টিনের পিস্তলের সাথে ব্যবহারের জন্য বারুদ দেয়া কাগজ পাওয়া যেত। গুলি করলে ফটফট শব্দ হতো। বৈশাখী মেলা থেকে কিনেছিলাম। টিনের জাহাজ পানিতে চলে। এর মধ্যে কেরোসিন তেল রেখে তাতে কাপড়ের সলতে চুবিয়ে তার মাথায় আগুন দিতে হয়। সেই আগুনের ফলে ভটভট শব্দ তুলে পুকুরে জাহাজ চলতে থাকে। ইচ্ছা ছিল বৈশাখী মেলা থেকে এরকম একটা জাহাজ কিনবো, কিন্তু আর কেনা হয় নাই। টাকা ছিল না মনে হয়। ১৯৯৭ সালের কথা। ক্যাসিও ঘড়ি ক্লাস ফোরের বার্ষিক পরীক্ষায় রোল নম্বর এক হলে একটা ঘড়ি কিনে দেয়ার কথা ছিল। রোল নম্বর হল তিন। তাতে কি, ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে হবে, ঘড়ি না থাকলে সময় দেখবো কীভাবে? ঢাকা থেকে আব্বু নিয়ে আসলেন ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। সারাদিন অকারণে হাত উঁচু করে সময় দেখি। মাঝে মাঝে শুধু ভাব নেয়ার জন্য ঘড়ির দিকে তাকাই। হাত নামানোর পর মনে হয়, আরে কয়টা বাজে সেটাই তো দেখা হয় নাই। সাথে সাথে আরেকবার ঘড়ি দেখি! জ্যামিতি বক্স ...

বই প্রিন্ট করতে গিয়ে

ইবুক পড়ে বাস্তবের বইয়ের মত আরাম পাওয়া যায় না। প্রিন্ট করে পড়তে পারলে ভালো হয়। কিন্তু A4 সাইজের বিশাল কাগজের একদিকের পাতায় যে প্রিন্ট বের হয় তাতে পেপারব্যাক পড়ার মজা পাওয়া যায় না। একটা কাগজে চারটার বদলে মাত্র একটা পৃষ্ঠা প্রিন্ট হওয়ায় কাগজের অপচয় হয়। কাজেই সফট কপি থেকে পেপারব্যাকের মতো প্রিন্টেড বই বানানোর মিশনে নেমে পড়লাম। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বুকলেট প্রিন্ট নামে একটা অপশন আছে। এর মাধ্যমে একেকটা কাগজে চার পৃষ্ঠা প্রিন্ট হয়, সেগুলোকে মাঝখানে ভাজ করে স্টাপলার করে দিলেই পেপারব্যাকের মত বই হয়ে যায়। কাজটা করতে হলে যে সব ধাপ অনুসরণ করতে হয় তা হলোঃ Page Layout > Margins > Custom Margins > Multiple Pages > Bookfold. তারপর প্রিন্ট দিতে হয়। যদি প্রিন্টার Autoduplex সাপোর্ট না করে তাহলে প্রিন্ট করার সময় Manual Duplex টিক দিতে হবে। অটো ডুপ্লেক্স হলো অটোমেটিক্যালি কাগজের উভয় পাশে প্রিন্ট করার ক্ষমতা। এটা না থাকলে সবগুলো কাগজের এক পাশে প্রিন্ট হওয়ার পর হাত দিয়ে সেগুলোকে উলটে আবার প্রিন্টার দিতে হয়, ফলে অন্য পাশেও প্রিন্ট হয়। নিয়ম মতো সবই করলাম, কিন্তু কাজ হলো না। প্রিন্ট দেয়ার পরেও ...

পলাশ ফুলের বাঁশি

ছোট বেলায় ফাল্গুনের এক বিকেলে একটা ছোট শহরের প্রান্তে হাঁটতে হাঁটতে দেখি গাছের নিচে সুন্দর কিছু ফুল পড়ে আছে। যার সাথে হাঁটছিলাম সে বললো এর নাম পলাশ ফুল। দেখতে চমৎকার, তবে কোন ঘ্রাণ নেই। কিন্তু ফুলের ভেতরে ধনুকের মত বাঁকানো সাদা টিউবটা বের করে তারও ভিতরের লাল অংশটা ফেলে দিলে এটাকে ঠোঁটে নিয়ে বাঁশির মত বাজানো যায়। এরপর থেকে পলাশ ফুল দেখলেই এরকম বাঁশি বানাতাম। অনেক বছর পরে আজ আরেক ফাল্গুনে এই সব মনে পড়লো আর কি। সেই শৈশব, সেই শান্ত ছোট শহর, সেই পলাশ ফুলের বাঁশি!