ইয়ো-ইয়ো
কোকাকোলার সাথে ফ্রি পাওয়া যেতো। আবার আলাদাও কিনতে পাওয়া যেত। নাম ইয়ো-ইয়ো। আঙ্গুলে সুতা আটকে এই জিনিস ঘুরানো হতো, যদিও অতো ভাল পারতাম না। প্রথম দেখি ১৯৯৩ সালের দিকে।
টিনের পিস্তল

এই রকম টিনের পিস্তলের সাথে ব্যবহারের জন্য বারুদ দেয়া কাগজ পাওয়া যেত। গুলি করলে ফটফট শব্দ হতো। বৈশাখী মেলা থেকে কিনেছিলাম।
টিনের জাহাজ

পানিতে চলে। এর মধ্যে কেরোসিন তেল রেখে তাতে কাপড়ের সলতে চুবিয়ে তার মাথায় আগুন দিতে হয়। সেই আগুনের ফলে ভটভট শব্দ তুলে পুকুরে জাহাজ চলতে থাকে। ইচ্ছা ছিল বৈশাখী মেলা থেকে এরকম একটা জাহাজ কিনবো, কিন্তু আর কেনা হয় নাই। টাকা ছিল না মনে হয়। ১৯৯৭ সালের কথা।
ক্যাসিও ঘড়ি

ক্লাস ফোরের বার্ষিক পরীক্ষায় রোল নম্বর এক হলে একটা ঘড়ি কিনে দেয়ার কথা ছিল। রোল নম্বর হল তিন। তাতে কি, ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে হবে, ঘড়ি না থাকলে সময় দেখবো কীভাবে? ঢাকা থেকে আব্বু নিয়ে আসলেন ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। সারাদিন অকারণে হাত উঁচু করে সময় দেখি। মাঝে মাঝে শুধু ভাব নেয়ার জন্য ঘড়ির দিকে তাকাই। হাত নামানোর পর মনে হয়, আরে কয়টা বাজে সেটাই তো দেখা হয় নাই। সাথে সাথে আরেকবার ঘড়ি দেখি!
জ্যামিতি বক্স

অংক পরীক্ষায় বৃত্ত-ত্রিভুজ-চতুর্ভুজ আঁকার জন্য লাগবে জ্যামিতি বক্স। বৃত্ত আঁকার কম্পাসটাই বেশি ভাল লাগতো। ইংরেজী বর্ণমালা আঁকার শিটটা দিয়ে নিজের নাম লেখতাম।
গেমবয়
যখনই কারো কাছে এটা দেখতাম, শুধু প্লেনের গেমটা খেলতে চাইতাম। পরে আম্মুর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কিনেছিলাম। আমারটায় অন্ধকারে খেলার জন্য লাইটও ছিল। কিনার পরে প্লেনের গেম-এর চাইতে অন্য গেমগুলো বেশি খেলা হতো।
Comments
Post a Comment