Skip to main content

টিউশন ফী এর ওপর ভ্যাট কেন নয়

“বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে এত এত টাকা আয় করতেছে, তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স নিলে সমস্যা কী?”

সমস্যা আছে। আইন অনুযায়ী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কোন লাভজনক কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন মালিক নেই, শেয়ারহোল্ডার নেই। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় একটা ট্রাস্টের মাধ্যমে। টিউশন ফি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আয় হয়, তা কোন মুনাফা না, বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর কাজেই সেই টাকা ব্যয় করতে হয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এ বলা আছেঃ “৪৪(৭) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলের অর্থ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাইবে না।” সরকার আইন করে বলবে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা করতে পারবে না, আবার সরকারই বাজেট করে বলবেঃ "লাভ করতেছো, ভাগ দাও", এটা কেমন কথা?

“বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা পড়ে, তাদের বাপের তো অনেক টাকা! এত টাকা দিয়ে সন্তান পড়াতে পারবে, আর ট্যাক্স দিতে পারবে না?”

না, কারণ বাপের টাকার উপর আগে থেকেই আয়কর ধার্য করা আছে। আর শিক্ষা তো আলু পটলের মতো পণ্য না যে টাকা যতবার হাত বদল হবে, বারবার ট্যাক্স দিয়েই যেতে হবে।

“পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কি টিউশন ফির উপর ট্যাক্স নেয় না?”

দূরের আমেরিকা বলেন, আর কাছের ভারত বলেন, টিউশন ফির উপর ট্যাক্স তো নাইই, বরং টিউশন ফি বাবদ যে টাকা খরচ করা হয়, তা মূল করযোগ্য আয় থেকে বাদ যায়। অর্থাৎ যে টাকা টিউশন ফিতে খরচ করা হয়েছে, সে টাকার উপর ট্যাক্সই মাফ!

Comments

Popular posts from this blog

সেই ছোটবেলার জিনিসগুলো

ইয়ো-ইয়ো কোকাকোলার সাথে ফ্রি পাওয়া যেতো। আবার আলাদাও কিনতে পাওয়া যেত। নাম ইয়ো-ইয়ো। আঙ্গুলে সুতা আটকে এই জিনিস ঘুরানো হতো, যদিও অতো ভাল পারতাম না। প্রথম দেখি ১৯৯৩ সালের দিকে। টিনের পিস্তল এই রকম টিনের পিস্তলের সাথে ব্যবহারের জন্য বারুদ দেয়া কাগজ পাওয়া যেত। গুলি করলে ফটফট শব্দ হতো। বৈশাখী মেলা থেকে কিনেছিলাম। টিনের জাহাজ পানিতে চলে। এর মধ্যে কেরোসিন তেল রেখে তাতে কাপড়ের সলতে চুবিয়ে তার মাথায় আগুন দিতে হয়। সেই আগুনের ফলে ভটভট শব্দ তুলে পুকুরে জাহাজ চলতে থাকে। ইচ্ছা ছিল বৈশাখী মেলা থেকে এরকম একটা জাহাজ কিনবো, কিন্তু আর কেনা হয় নাই। টাকা ছিল না মনে হয়। ১৯৯৭ সালের কথা। ক্যাসিও ঘড়ি ক্লাস ফোরের বার্ষিক পরীক্ষায় রোল নম্বর এক হলে একটা ঘড়ি কিনে দেয়ার কথা ছিল। রোল নম্বর হল তিন। তাতে কি, ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে হবে, ঘড়ি না থাকলে সময় দেখবো কীভাবে? ঢাকা থেকে আব্বু নিয়ে আসলেন ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। সারাদিন অকারণে হাত উঁচু করে সময় দেখি। মাঝে মাঝে শুধু ভাব নেয়ার জন্য ঘড়ির দিকে তাকাই। হাত নামানোর পর মনে হয়, আরে কয়টা বাজে সেটাই তো দেখা হয় নাই। সাথে সাথে আরেকবার ঘড়ি দেখি! জ্যামিতি বক্স ...

বই প্রিন্ট করতে গিয়ে

ইবুক পড়ে বাস্তবের বইয়ের মত আরাম পাওয়া যায় না। প্রিন্ট করে পড়তে পারলে ভালো হয়। কিন্তু A4 সাইজের বিশাল কাগজের একদিকের পাতায় যে প্রিন্ট বের হয় তাতে পেপারব্যাক পড়ার মজা পাওয়া যায় না। একটা কাগজে চারটার বদলে মাত্র একটা পৃষ্ঠা প্রিন্ট হওয়ায় কাগজের অপচয় হয়। কাজেই সফট কপি থেকে পেপারব্যাকের মতো প্রিন্টেড বই বানানোর মিশনে নেমে পড়লাম। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে বুকলেট প্রিন্ট নামে একটা অপশন আছে। এর মাধ্যমে একেকটা কাগজে চার পৃষ্ঠা প্রিন্ট হয়, সেগুলোকে মাঝখানে ভাজ করে স্টাপলার করে দিলেই পেপারব্যাকের মত বই হয়ে যায়। কাজটা করতে হলে যে সব ধাপ অনুসরণ করতে হয় তা হলোঃ Page Layout > Margins > Custom Margins > Multiple Pages > Bookfold. তারপর প্রিন্ট দিতে হয়। যদি প্রিন্টার Autoduplex সাপোর্ট না করে তাহলে প্রিন্ট করার সময় Manual Duplex টিক দিতে হবে। অটো ডুপ্লেক্স হলো অটোমেটিক্যালি কাগজের উভয় পাশে প্রিন্ট করার ক্ষমতা। এটা না থাকলে সবগুলো কাগজের এক পাশে প্রিন্ট হওয়ার পর হাত দিয়ে সেগুলোকে উলটে আবার প্রিন্টার দিতে হয়, ফলে অন্য পাশেও প্রিন্ট হয়। নিয়ম মতো সবই করলাম, কিন্তু কাজ হলো না। প্রিন্ট দেয়ার পরেও ...

পলাশ ফুলের বাঁশি

ছোট বেলায় ফাল্গুনের এক বিকেলে একটা ছোট শহরের প্রান্তে হাঁটতে হাঁটতে দেখি গাছের নিচে সুন্দর কিছু ফুল পড়ে আছে। যার সাথে হাঁটছিলাম সে বললো এর নাম পলাশ ফুল। দেখতে চমৎকার, তবে কোন ঘ্রাণ নেই। কিন্তু ফুলের ভেতরে ধনুকের মত বাঁকানো সাদা টিউবটা বের করে তারও ভিতরের লাল অংশটা ফেলে দিলে এটাকে ঠোঁটে নিয়ে বাঁশির মত বাজানো যায়। এরপর থেকে পলাশ ফুল দেখলেই এরকম বাঁশি বানাতাম। অনেক বছর পরে আজ আরেক ফাল্গুনে এই সব মনে পড়লো আর কি। সেই শৈশব, সেই শান্ত ছোট শহর, সেই পলাশ ফুলের বাঁশি!